বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায়।
 
(NO VISA REQUIRED or NVR Countries with Bangladeshi Passport)

বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

আজকে আমরা আলোচনা করবো ভিসা ছাড়া বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় বা ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা কোন কোন দেশে খুব সহজে যেতে পারবে এবং হয়তো অনেকেই জানেন। তবে বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলেই আপনি কোনো ধরনের ভিসার ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ পাবেন ২০টি চমৎকার দেশে আর এটি অবশ্যই যেকোনো ট্রাভেলারের জন্য দারুণ সুখবর। তবে ভিসা ছাড়াই তালিকায় থাকা ৪২টি দেশের যেকোনো একটিতে যেতে হলে আপনাকে শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যেমনঃ 

আপনার পাসপোর্টটি অবশ্যই বৈধ হতে হবে। সাধারণত, বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রেই বাংলাদেশী পাসপোর্টটি ডেস্টিনেশন থেকে এক্সিটের তারিখ , অর্থাৎ দেশটি ছেড়ে আসার তারিখের পর থেকে ৬ মাসের জন্য বৈধ হতে হয় এবং ট্রাভেল করার আগে যে দেশে যাচ্ছেন সেটির জন্য সঠিক স্বাস্থ্য বীমা (Health Insurance) কিনে রাখা জরুরি। আপনি কোথায় যাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে বীমার ধরন এবং মূল্য ভিন্ন হতে পারে।

সব রিকোয়ারমেন্ট জেনে নেওয়ার পর বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়া যে ৪২টি দেশে খুব সহজেই যেতে পারেন তাঁর তালিকা:-

এশিয়ার ৬টি দেশ:

  • ভুটান
  • কম্বোডিয়া
  • মালদ্বীপ
  • নেপাল
  • শ্রীলঙ্কা
  • পূর্ব তিমুর

দক্ষিণ আমেরিকার ১টি দেশ:

  • বলিভিয়া

উত্তর আমেরিকা (ক্যারাবিয়ান অঞ্চল)-এর ১১টি দেশ:

  • বাহামাস
  • বার্বাডোস
  • ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপসমূহ
  • ডোমিনিকা
  • গ্রেনাডা
  • হাইতি
  • জামাইকা
  • মন্টসেরাট
  • সেন্ট কিটস এবংনেভিস
  • সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস
  • ট্রিনিডাড ও টোব্যাগো

ওশিয়ানিয়ার ৮টি দেশ:

  • কুক দ্বীপপুঞ্জ
  • ফিজি
  • কিরিবাস বা কিরিবাটি
  • মাইক্রোনেশিয়া
  • নিউয়ে
  • সামোয়া
  • ভানুয়াটু
  • টুভালু।

আফ্রিকার ১৬টি দেশ:

  • লেসোথো
  • গাম্বিয়া
  • বুরুন্ডি
  • কেপ ভার্দে
  • কমোরো দ্বীপপুঞ্জ
  • জিবুতি
  • গিনি-বিসাউ
  • লেসোথো
  • মাদাগাস্কার
  • মৌরিতানিয়া
  • মোজাম্বিক
  • রুয়ান্ডা
  • সেশেল
  • সিয়েরা লিওন
  • সোমালিয়া
  • টোগো।
তথ্যসূত্র: visaguide.world 
 
আগে থেকে কোনও প্রকার ভিসা আবেদন ছাড়াই বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে উপভোগ করতে পারবেন অসাধারণ কিছু স্পট- এটা হয়তো অনেক ভ্রমণপ্রেমীরই শুধু কল্পনায় ছিল। ব্যাপারটা এখন পুরোপুরি সত্যি আর তা হয়তো অনেকে জেনেও থাকবেন। কিন্তু বাংলাদেশিদের জন্য অন এরাইভাল ভিসা ঠিক কোন কোন দেশে আছে তা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকতে পারে। আজকে একনজরেই দেখে নিতে পারবেন সেই দেশগুলোর তালিকা আর চট করে প্ল্যান করে ফেলতে পারবেন আপনার পরবর্তি ট্রিপ। 

বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা অন-অ্যারাইভাল (Visa on Arrival বা VOA) নিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন যেসব দেশে:-বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলে ভিসা অন-অ্যারাইভাল (VOA) পাবেন যেসব দেশে: 

এশিয়ার দেশ সমূহ: 

  • মালদ্বীপ
  • ভুটান
  • নেপাল
  • টিমর-লেস্টে
  • শ্রীলঙ্কা

আফ্রিকার দেশ সমূহ: 

  • কাবো ভার্দে
  • মৌরিতানিয়া
  • বুরুন্ডি
  • কমোরোস
  • গিনি-বিসাউ
  • মাদাগাস্কার
  • রুয়ান্ডা
  • সিশেলস
  • সিয়েরা লিওন
  • সোমালিয়া

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সমূহ:

  • বলিভিয়া
  • ওশিয়ানিয়া-টুভালু
তথ্যসূত্র: visaguide.world

ভিসা অন-অ্যারাইভাল এমন এক ধরনের ভিসা যেটির মাধ্যমে ডেস্টিনেশনে পৌঁছানোর আগে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে না । অর্থাৎ, আপনাকে আগে থেকে কোনো ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার দরকার নেই। আপনি যেই দেশে যাচ্ছেন সেখানে পৌঁছে একটি অনুমোদিত পয়েন্টে প্রয়োজনীয় ফি দিয়েই আপনি আপনার ভিসাটি কালেক্ট করে নিতে পারবেন। এই সম্পূর্ণ প্রসেসটি দেশভেদে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি আপনার আবেদন জমা দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন। ভিসা অন-অ্যারাইভাল সাধারণত ট্যুরিস্টরাই ব্যবহার করে থাকেন এবং এর মেয়াদ থাকে ১৪ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত। তবে ভিসা অন-অ্যারাইভালের যেকোনো শর্ত উক্ত দেশগুলোর সিধান্ত অনুযায়ী চেঞ্জ হতে পারে। 

বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা অন-অ্যারাইভালের জন্য আবেদন করার জন্য কি-কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

  1. একটি বৈধ পাসপোর্ট।
  2. রিসেন্ট ছবি (সাধারণত ৩ মাসের বেশি পুরানো নয়)। ছবির সাইজ নির্ভর করবে যেই দেশে যাচ্ছেন সেখানকার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী।
  3. ভিসা আবেদনপত্র (Visa Application Form)
  4. প্রয়োজনীয় ফি দিতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড কিংবা ক্যাশ।
  5. ফ্লাইট টিকিট এবং হোটেল রিজার্ভেশনের কপি।
  6. ভ্রমণসূচী (Travel Itinerary) ইত্যাদি। 

বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে ই-ভিসায় ঘুরে আসতে পারবেন যে দেশগুলো থেকে:-

বর্তমান সময়ে প্রায় সব ট্রাভেলারদের মধ্যেই ই-ভিসা বেশ পরিচিত। ই-ভিসা মূলত সাধারণ ভিসার একটি ইলেক্ট্রনিক ভার্সন । এটি একটি নিয়মিত ভিসার মতোই কাজ করে তবে নিয়মিত ভিসার তুলনায় কিছু এটির সুযোগ-সুবিধা কিছুটা বেশি, কেননা ই-ভিসার আবেদনের জন্য আপনাকে এম্বাসির লম্বা লাইনে মোটেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। যেই দেশে যেতে চান, সেখানের এম্বাসির পোর্টালে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করলেই আপনার কাজ শেষ। অর্থাৎ, আপনাকে আর এম্বাসিতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে না বা ডকুমেন্টের কোনো হার্ড কপিও জমা দিতে হবে না। তাই বুঝতেই পারছেন, ই-ভিসা প্রক্রিয়াটি কতটা ঝামেলামুক্ত, সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী!

বাংলাদেশী পাসপোর্টে ই-ভিসা অনুমোদনকারী দেশের তালিকা:-

এশিয়ার দেশ সমূহ: 

  • বাহরাইন
  • কাজাখস্তান
  • কিরগিজস্তান
  • মালয়েশিয়া
  • মায়ানমার
  • কাতার
  • তাজিকিস্তান
  • ভিয়েতনাম

ইউরোপের দেশ: 

  • আলবেনিয়া

আফ্রিকার দেশ সমূহ: 

  • বেনিন
  • বটসোয়ানা
  • বুর্কিনা ফাসো
  • ক্যামেরুন
  • কঙ্গো জাতীয় প্রজাতন্ত্র
  • আইভরি কোস্ট (কোট ডিভোয়ার)
  • জিবুটি
  • ইকুয়েটোরিয়াল গিনি
  • ইথিওপিয়া
  • গাবন
  • গিনি
  • কেনিয়া
  • মালাউই
  • মোজাম্বিক
  • নাইজেরিয়া
  • সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে
  • দক্ষিণ সুদান
  • টোগো
  • উগান্ডা
  • জাম্বিয়া
  • জিম্বাবুয়ে

উত্তর আমেরিকা (ক্যারাইবিয়ান অঞ্চল):

  • অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা

দক্ষিণ আমেরিকা:

  • সুরিনাম
তথ্যসূত্র: visaguide.world

বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলেও যেসব দেশ ভ্রমণ করতে আপনাকে ট্যুরিস্ট ভিসা নিতে হবে:

নো-ভিসা, ই-ভিসা এবং ভিসা অন-অ্যারাইভাল নিয়ে সব প্রয়োজনীয় তথ্য জানার পর এবার পালা ভিসাসহ ট্রাভেল নিয়ে জানার। আপনার যদি একটি বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট এবং একটি ভিসা থাকে, তাহলে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন পৃথিবীর অনন্য ১৬১টি দেশ! প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন রূপ, চোখ ধাঁধানো আর্কিটেকচারসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় স্পটের ছবিগুলো মডার্ন ডিভাইসটিতে ক্যাপচার করতে বেশ ভালোই লাগবে! চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এই নিয়ে সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। 

বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্য কিছু বেসিক ডকুমেন্ট: 

  1. ভিসা আবেদনপত্র (Visa Application Form)
  2. একটি বৈধ পাসপোর্ট (অন্তত ছয় মাসের বৈধতা) যেখানে পরিদর্শনকারী দেশটির জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি ফাঁকা পৃষ্ঠা রয়েছে।
  3. পুরানো পাসপোর্ট (যদি থাকে)।
  4. রিসেন্ট ছবি (সাধারণত ৩ মাসের বেশি পুরানো নয়)। ছবির সাইজ নির্ভর করবে যেই দেশে যাচ্ছেন সেখানকার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী।
  5. ফ্লাইট টিকিট এবং হোটেল রিজার্ভেশনের কপি।
  6. ভ্রমণসূচী (Travel Itinerary) ইত্যাদি।
  7. আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ (সাধারণত লাস্ট ৬ মাসের ব্যাংক  স্টেটমেন্ট)।
  8. ম্যারেজ সার্টিফিকেট।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url