কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা ও কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয়

আজকে আমরা জানবো আমাদের শরীরের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা কতটুকু রয়েছে এবং এটি কাঁচার খেলে কি এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যাবে না কেঁটে রান্না করে খেলে এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যাবে? আজকে আমরা পেঁয়াজ সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। তবে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

কাঁচা পেঁয়াজের উপকারিতা

পেঁয়াজে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান, যা নিয়মিত খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, বাড়ে ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষমতাও। পেঁয়াজের ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম মুখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও দারুণ কাজ করে পেঁয়াজ। চুল, ত্বক ও রক্তের সঠিক চলাচলেও কার্যকর ভূমিকা রাখে এই পেঁয়াজ।

কাঁচা পেঁয়াজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এখানে মজার ব্যাপার হলো যে, শরীরের ভালো কোলেস্টরেল বা এইচডিএলের মাত্রা বাড়িয়ে শরীরকে চাঙ্গা রাখে পেঁয়াজ এবং খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। যারা খারাপ কোলেস্টেরল এর চাপে ভুগলেন বা এর জন্য বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ সেবন করছেন তাঁরা আজ থেকেই উক্ত লেখায় বর্নিত নিয়মে পেঁয়াজ খাওয়া শুরু করুন। 

ডায়াবেটিস:

ডায়াবেটিস শব্দটির সাথে আমরা সকলে পরিচিত এবং সকলে জানি এটি কত ভয়ংকর একটি রোগ। আপনি হয়তো জানেন না ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজকে এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় খেলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ইনশাআল্লাহ্ এবং যারা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ততা উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা ভুগছেন এবং হতাশা যদি আপনাকে এমনভাবে গ্রাস করেছে যা থেকে আপনি বাহির হতে পারছেনা তারাও নিচে বর্নিত নিয়ম মোতাবেক পেঁয়াজ খাওয়ার চেষ্টা করুন। পেঁয়াজ ইনসোমনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমায়। যদি আপনি রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে না পারেন এবং ঘুম না আসার কারণে আপনার শরীর ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে কাকে, তেব অবশ্যই আপনাকে পেঁয়াজের চিকিৎসা নিতে হবে। 
নিয়মটি হলো:- একটি পেঁয়াজ কেঁটে নিয়ে তাঁর রস সংগ্রহ করুন এবং মনে রাখবেন পেঁয়াজ কাঁটার আগে পেঁয়াজটিকে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। কোনোভাবে খোসা ছাড়ানোর পর পেঁয়াজ ধুতে যাবেননা। এতে পেঁয়াজের মধ্যে থাকা নিউট্রেশনাল বেনিফিট কমে যায়। এরপর আপনি পেঁয়াজ থেকে পেঁয়াজের রস সংগ্রহ করুন এবং তারপর সেই রসের সাথে এক চামুচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে তিন বেলা তা সেবন করুন তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা মধু যুক্ত পেঁয়াজের রস সেবন করবেননা। সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস না খেয় আপনি গরম ভাতের সাথে পেঁয়াজকে চিবিয়ে খেতে পারেন। এতেও কিন্তু উপকার পাওয়া যাবে। মনে রাখবেন, 1 দিনে সর্বোচ্চ 50 গ্রামের বেশি কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া যাবেনা। 

আমাদের অনেকেরই আচুলেরর সমস্যা রয়েছে, এটি থেকে উত্তোরনের জন্য পেঁয়াজের ভূমিকা অনেক বেশি। এই আচুলের জন্য আমরা বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ সেবন করে আসছি কিন্তু তাও ঠিক হয়না। সহজ একটি উপায় হলো, আপনি একটি পেঁয়াজকে কেঁটে সেটি আপনার আচুলের স্থানে রাখুন দেখবেন সেটি কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। 

আমাদের অনেকেরই শরীর প্রচন্ড জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়, আপনি কোনোভাবেই প্যারাসিটামল বা ঔষধ না খেয়ে সেই জ্বরকে সাড়াতে চান ভেষজ উপায়ে। তাহলে আপনি পেঁয়াজকে পাতলা করে কেটে পেঁয়াজের পাতলা অংশটি আপনার পায়ের তালুতে লাগান এবং তার সাথে পায়ে মৌজা পরে শুয়ে পড়ুন। যাতে পায়ের তালুর নিচে পেঁয়াজের পাতলা অংশ লেগে থাকে। এভাবে শুয়ে পড়লে আপনি জ্বর থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ্।

পেঁয়াজ যেহেতু রক্ত পাতলা করে এবং ধমনীতে যাতে রক্ত জমাট না বাঁধে সেদিকে খেয়াল রাখে তাই অবশ্যই পেঁয়াজকে রক্ত পাতলা করার ঔষধ বলা যায়। যারা রক্ত পাতলা করার ঔষধ খাচ্ছেন, তারা খেয়াল রাখবেন যে আপনি কাঁচা পেঁয়াজ খেলে রক্ত পাতলা করার ঔষধ খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। 

আরও একটি গুরু্ত্বপূর্ণ বিষয় যে, অপারেশনের আগেও কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করতে পারেন। এতে রক্তপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং গর্ভাবস্থায় কখনোই অতিরিক্ত কাঁচা পেঁয়াজ খাবেন না। একদিনে 50 গ্রামের বেশি কোনোভাবেই নয়। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে বুক জ্বালাপোড়া বা অ্যাসিডিটি বেড়ে যেতে পারে। 

সূত্রে:- !! আলোর পথ হেলথ !!

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url