খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক,
আজকে আমরা জানবো খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের জীবনে কতটুকু রয়েছে। আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে, তাই লেখাটি মনযোগের সাথে পড়ে আমাদের সাথেই থাকুন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞার্নাজন করুন।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। এগুলো মিষ্টি বন্ধুর মতো, যা না শুধু স্বাদে ভালো বলে, তারা স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ভালো ও অনেক উপকারি। এগুলো মধুর স্বাদ এবং আরোগ্যকর জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় পোষণ সরবরাহ করে। খেজুর শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং প্রতি দিনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করে।

একইভাবে, খেজুরে অনেক উপকারিতা রয়েছে, কিন্তু এর অপকারিতাও রয়েছে। এগুলি আপনার ডায়েটে যোগ করার আগে বিবেচনা করা জরুরী যেন আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

খেজুরের পুষ্টির মান:

খেজুরে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, প্রিয়াণি, পোটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের একটি অমূল্য উৎস। এগুলি শরীরে প্রোটিনের আবশ্যক পরিমাণ সরবরাহ করে এবং শক্তিশালী ও সুস্থ অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে। খেজুরের মধ্যে অনেক ফাইবার রয়েছে, যা পেটের অনুচ্ছেদে পেট শুষে এবং পুষ্টি সরবরাহ করে।

পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন। তাই প্রতিদিন খেজুর খেলে শরীরে থাকবে ভরপুর এনার্জি। খেজুর খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনই চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও বিস্ময়কর এই ফলটির অনেক গুণ রয়েছে।

সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সুবিধা:

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অবশ্যই অনেকগুণ রয়েছে। এগুলো কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, এবং হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাদের পোষকতার প্রভাবের জন্য, খেজুর গর্ভাবস্থা এবং গর্ভাবস্থার সময় মা ও শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো জেনে নিন যা আপনাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে: 

খেজুরের গুনাগুন:

খেজুর মিষ্টি বন্ধুর মত এবং তার গুণগত মূল্য অনেক। এটি একটি পুরাতন ফল যা প্রাচীন সময়ে প্রাণীদের জীবনে প্রধান অংশ খেলেছিল। খেজুরের মিষ্টি স্বাদ এবং প্রাণীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিতত্ত্ব সরবরাহ করে। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে এবং প্রতিদিনের কাজের জন্য উত্তেজনা দেয়।


আরোগ্যকর মানসিকতা:

খেজুরে অধিক গুণগত উপকারিতা রয়েছে, কিন্তু তার অপকারিতাও রয়েছে। তারা শরীরে প্রাচীন শক্তি ফেরত দেয় এবং আপনার আন্তরিক স্বাস্থ্য বরাদ্দ করে। তবে, খেজুরের মিষ্টি স্বাদ স্বাস্থ্যকর নয় এবং মাত্রাতিরিক্ত খেতে ক্ষতিকর হতে পারে।


পুষ্টিকর মান:

খেজুরে পুরানো কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, প্রিয়াণি, পোটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। এগুলি পুষ্টির সঠিক পরিমাণ সরবরাহ করে এবং আপনার শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজনীয় পরিমাণ সরবরাহ করে।


স্বাস্থ্যের উন্নতি:

খেজুর এক অত্যন্ত পুরানো ফল, যা আপনার শরীরের সাথে অনুস্বারিত। এগুলি হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, এবং হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণ করে।


প্রোটিনে ভরপুর:

খেজুরে থাকা প্রোটিন আপনার পেশি গঠনে অনেক বেশি সাহায্য করে।


ভিটামিন: 

খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। ভিটামিন B1, B2, B3 এবং B5। এছাড়া ভিটামিন A এবং ভিটামিন C এর চাহিদা পূরণের সহজ মাধ্যম হচ্ছে খেজুর।


আয়রন:

আয়রন মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান বিশেষ করে নারীদের দেহে আয়রনের চাহিদা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি। আয়রনের অভাবে রক্তশুণ্যতা দেখা দেয়। তাই আয়রনের অভাব পূরণ করতে খেজুরের তুলনা নেই বললে চলে। এটি হৃদপিণ্ডের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। যাদের হৃদপিণ্ড দুর্বল তাঁদের জন্য খেজুর একটি আদর্শ খাদ্য হতে পারে বলে আমরা মনে করি, যা তাঁর রোগ প্রতিরোধে প্রতিশেধক হিসেবে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কাজ করবে।


ক্যালসিয়াম:

খেজুরের রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা মানুষের হাড় গঠনে সহায়তা করে থাকে। খেজুরের ক্যালসিয়াম শিশুদের জন্য খুবই উপকারি যা তাঁদের দাঁতের মারি গঠনে সহায়তা করে। তাই আপনার শিশুকে খেজুর খেতে উদ্বুদ্ধ করুন। এতে আপনার শিশুর শরীরে অনেকগুণ পুষ্টি বৃদ্ধি পাবে।


ফাইবার:

খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এক গবেষণায় দেখা যায় যে, যারা নিয়মিত খেজুর খান তাঁদের পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি কম।


কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে 

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা দূর করে। তুলনামূলকভাবে যে-সব খেজুর একটু শক্ত সেই খেজুর সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর হয়। এছাড়া মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে আমাদের বদহজম অনেকাংশে দূর হয়।

মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে

খেজুরের সবচেয়ে বড় গুণ হলো এই ফলটি মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে। আমাদের ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তির জোগান দিতে সক্ষম এই পুষ্টিগুণে ভরপুর সুস্বাদু ফলটি।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খেজুর খুবই কার্যকরী দিক রয়েছে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি ক্ষুধা নিবারণ এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে সাহায্য করে। আমরা যখন খাবার নিয়ন্ত্রণে মতো গ্রহণ করি তখন ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

গর্ভবতী নারীদের জন্য এর উপকার

খেজুর গর্ভবতী নারীদের জন্য দারুণ উপকারি একটি ফল হিসেবে গণ্য হয়। খেজুরে থাকা আয়রন নারীদের রক্তে ভরপুর করে। খেজুর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য অপরিহার্য। গর্ভবতী নারীরা সহজেই ১-২টি খেজুর খেতে পারেন।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে

খেজুরে ভালো পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়, যা শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। শরীরে রক্ত সরবরাহ করে। খালি পেটে খেজুর খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়।

হার্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে

যাঁদের হার্টের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী একটি ফল। কেননা খেজুর দুর্বল হার্টকে মজবুত করতে সক্ষম এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে হার্টের সমস্যায় কিছু দিনের মধ্যে দূর হয়ে যাবে এবং আপনি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। হৃদরোগ কমাতেও খেজুর বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।  

খুসখুসে কাশি দূর করতে সাহায্য করে

যাঁদের খুসখুসে কাঁশি হয় তারা ১/২টি খেজুর এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভেঁজানো খেজুরসহ পানিটুকু খেয়ে ফেলুন। উক্ত পদ্ধতিটি আপনি ১৫ দিনে ধরে করুন দেখবেন আপনার খুসখুসে কাঁশি ১৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে এবং এর উপকার সম্পর্কে আপনি ধারণা পাবেন।

চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে

অনেক সময়ে আমাদের চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। চুলের মধ্যে একটা রুক্ষ ও শুষ্ক ভাব দেখা যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাওয়া শুরু করুন খেজুর। কারণ খেজুরের মধ্যে যে তেল থাকে তা পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। এটি চুলের দারুণ উপকার করতে সাহায্য করে। এছাড়া চুল পড়ার সমস্যার সমাধান করতেও খেজুরের অনেক ভূমিকা রয়েছে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই খেজুর। এছাড়াও মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধেও এই ফল বেশ কার্যকরী।

চলুন তবে এবার জেনে নেই খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে হাদিসে কি বলা হয়েছে:

হাদিস শরিফেও খেজুর দিয়ে ইফতারি করার নির্দেশ রয়েছে।
খেজুর দিয়ে ইফতার করার ব্যাপারে হাদিস: 
হজরত সালমান ইবনে আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ইফতার করে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে। কেননা, তাতে বরকত ও কল্যাণ রয়েছে’। (মিশকাত-১৮৯৩)

অন্য হাদিসে রয়েছে- আনাস বিন মালেক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেঁজুরও না থাকত, তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে’। (তিরমিজি-৬৩২)

শুধু রমজানই নয় অন্যান্য দিনেও খেজুর শরীরে বিশেষ পুষ্টিদানকারী খাবার। হজরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে বিষ ও জাদু তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না’। (বুখারি: ৫৪৪৫; মুসলিম: ২০৪৭-১৫৫; আবু দাউদ: ৩৮৭৬) 

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘মদিনার উচ্চভূমিতে উৎপন্ন আজওয়া খেজুরের মধ্যে রোগের নিরাময় রয়েছে। আর প্রথম ভোরে তা আহার করা বিষের প্রতিষেধক’। (মুসলিম: ৫১৬৮; সিলসিলাতুস সহিহাহ: ৩৫৩৯)

আরেক হাদিসে সা’দ (রাঃ) বর্ণনা করেন, ‘একবার আমি অসুস্থ হলে রাসুল (সাঃ) আমাকে দেখতে আসেন। এ সময় তিনি তাঁর হাত আমার বুকের ওপর রাখেন। আমি তাঁর শীতলতা আমার হৃদয়ে অনুভব করি। এরপর তিনি বলেন, তুমি হৃদরোগে আক্রান্ত। কাজেই তুমি সাকিফ গোত্রের অধিবাসী হারিসা ইবনে কালদার কাছে যাও। কেননা সে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। আর সে যেন মদিনার আজওয়া খেজুরের সাতটা খেজুর নিয়ে বিচিসহ চূর্ণ করে তোমার জন্য তা দিয়ে সাতটি বড়ি তৈরি করে দেয়। (আবু দাউদ: ৩৮৩৫)

আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সাঃ) নামাজের আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না থাকত, তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না থাকত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে’। (তিরমিজি; রোজা অধ্যায়: ৬৩২)

সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন- ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয় পানি পবিত্র’। (আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমি; আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬২, পৃষ্ঠা: ১৩১-১৩২)

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ঈমানদার ব্যক্তির জন্য খেজুর দিয়ে সেহরি খাওয়া কতোই না উত্তম! (আবু দাউদ: ২৩৪৫)

আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আজওয়া জান্নাতের, এতে বিষক্রিয়ার প্রতিষেধক রয়েছে’। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৬৬)

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, খেজুর খেলে আরও বেশ কিছু উপকার রয়েছে। যেমন-

অল্পতেই ক্ষুধা নিবারণ হয়ে যাবে। কেননা খেজুর এমন একটি খাবার, যা অল্প হলেও ক্ষুধা নিবারণে দ্রুত কাজ করে।

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে বিধায় ক্লান্তির শেষে খেজুর খাওয়া হলে দ্রুত দুর্বলতা কেঁটে যায়।
খেজুর হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী এবং বলবর্ধক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। রোজাদারের ক্ষুধামন্দা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে খেজুর বিশেষ উপকারী।

খেজুর পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং অ্যাজমায় উপকারী।

খেজুর অধিক পরিমাণে খাওয়ার অপকারিতা: 

খেজুরের অসংখ্য উপকারিতা থাকলেও কিছু-কিছু ক্ষেত্রে খেজুর গ্রহণে সতর্ক হওয়া উচিত। যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁরা খেজুর গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন এবং যাঁদের দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি তাঁরা খেজুর খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খেজুর খেলে গ্যাসট্রিকের সমস্যা ছাড়াও, পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তবে অতিরিক্ত ফাইবার থেকে বিপরীত হতে পারে। খেজুর সংরক্ষণে সালফাইট নামক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়।

অনেকেরই নিয়ম করে ড্রাই ফ্রুটস গ্রহণ করেন। আর ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে খেজুর খুবই জনপ্রিয়। ড্রাই ফ্রুটসে যে খেজুর থাকে, তাতে সালফাইট দিয়ে জারিয়ে রাখা হয়। সালফাইট শরীরে গেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেজুর খেলে গ্যাসট্রিকের সমস্যা ছাড়াও, পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তবে অতিরিক্ত ফাইবার হিতে বিপরীত হতে পারে।

খেজুর সংরক্ষণে সালফাইট নামক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। এই সালফাইট শরীরের ভিতরে এবং বাইরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এর প্রভাবে ত্বকে র‌্যাশ, চুলাকানি, লাল হয়ে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, খেজুর খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে খেজুর খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। খেজুর খেলে দেখা দিতে পারে এলার্জিও। তাই যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের খেজুর না খাওয়াই ভাল।

তাই চিকিৎসকরা প্রতিদিন খেজুর না খেয়ে একদিন পর-পর পরিমিত মাত্রায় খেজুর খেতে পরামর্শ দেন।

আমরা আশা করছি আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেয়েছেন এবং খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url