কি গাছের শিকড় খেলে মানুষ পাগল হয়ে যায়

কি গাছের শিকড় খেলে মানুষ পাগল হয়ে যাওয়ার ধারণাটি বহু প্রাচীন। এই বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের কাহিনী ও মিথ রয়েছে। আজকের দিনে বিজ্ঞান কতটা এ বিষয়ে আলোকপাত করতে পেরেছে? চলুন খুঁজে দেখি এবং জানা যাক কোন গাছের শিকড় খেলে মানুষ পাগল হয়ে যায়।

কোন গাছের শিকড় খেলে মানুষ পাগল হয়ে যায়

শিকড় খাওয়ার গল্প

প্রাচীনকালে নানা ধরনের গাছের শিকড় নিয়ে লোককথা প্রচলিত ছিল। এসব কাহিনী মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল এবং তারা মনে করত কিছু শিকড়ের বিশিষ্ট প্রভাব রয়েছে যা মানসিক স্থিতি পরিবর্তন করতে পারে। 

এ সম্পর্কে উদাহরণ স্বরূপ একটি গল্প পড়া যাক:

একজন কৃষকের গল্প ছিল। তার নাম ছিল রাজু। রাজু ছিল খুবই গরিব, তার ফসলও ভালো হচ্ছিল না। একদিন রাজু মাঠে কাজ করছিল, হঠাৎ সে খুঁজে পেল এক অদ্ভুত শিকড়। দেখতে বেশ অদ্ভুত হলেও, রাজুর মনে হলো এটি কিছু কাজে লাগতে পারে।

রাজু সেই শিকড় বাড়ি নিয়ে এল। তার স্ত্রী, মিনা, তাকে বলল, “এটা কি তুমি এনেছো? এটার কোনো কাজে আসবে না। আমাদের খেতে দাও।”

কিন্তু রাজু বলল, “না, আমি এটাকে একবার রান্না করেই দেখি। হতে পারে এটা আমাদের কাজে লাগবে।”

রাজু সেই শিকড় রান্না করল। সে খুবই মনোযোগ সহকারে রান্না করল এবং অবশেষে যখন রান্না শেষ হলো, তখন সেটি বেশ সুস্বাদু মনে হলো। মিনা কিছুটা সন্দেহের সাথে সেই শিকড়ের রেসিপি খেতে বসলো, কিন্তু প্রথম কুড়ি খাবার পরই সে বুঝতে পারল এটি কতটা মজাদার।

তাদের খাওয়ার পর তারা দুজনেই বেশ আনন্দিত হলো। পরের দিন রাজু আবার সেই শিকড় খুঁজতে মাঠে গেল। সে অনেক খোঁজার পর আবার সেই শিকড় পেল। এবার সে বাজারে সেই শিকড় বিক্রি করতে গেল। লোকেরা প্রথমে সন্দেহ করলেও, যখন খেয়ে দেখল, সবাই মুগ্ধ হলো।

শীঘ্রই রাজু ও মিনা সেই শিকড় বিক্রি করে অনেক টাকা রোজগার করতে লাগল। তাদের জীবন বদলে গেল, তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলো, আর তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগল।

এইভাবেই সেই শিকড় খাওয়ার গল্পটি রাজুর ও মিনার জীবনের অন্যতম পরিবর্তন নিয়ে এলো।

বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ গাছের শিকড় খাওয়ার প্রভাব

বিজ্ঞান বলছে, কিছু গাছের শিকড়ে এমন রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে। এই প্রভাব কখনো কখনো বিপজ্জনক হতে পারে এবং মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। 

আবার এমন অনেক গাছ রয়েছে যেগুলো আমাদের খুব উপকারে আসে যেমন গাছের শিকড় খাওয়ার প্রভাব সম্পর্কে বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিম্নরূপ:

অনেক গাছের শিকড়ে প্রচুর পুষ্টি থাকে, যেমন ভিটামিন, খনিজ, এবং আঁশ। উদাহরণস্বরূপ, গাজরের শিকড়ে বিটা-ক্যারোটিন থাকে যা ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয় এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

কিছু গাছের শিকড়ে ঔষধি গুণ থাকে। উদাহরণস্বরূপ, জিনসেং শিকড়ে এডাপ্টোজেনিক প্রভাব আছে, যা শরীরকে মানসিক ও শারীরিক চাপের সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।

প্রাচীনকাল থেকে শিকড় ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে। যেমন, আদার শিকড় সর্দি-কাশি এবং হজমের সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়।

বিভিন্ন শিকড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চলছে। অনেক শিকড়ে এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং এন্টি-ক্যান্সার গুণাবলী পাওয়া গেছে।

শিকড় থেকে তৈরি নানা পণ্য বাজারে বিক্রি হয়, যা অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, বিভিন্ন ঔষধি শিকড় থেকে তৈরি ওষুধ এবং সুপারফুড পাউডার উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়।

শিকড়ের সঠিক ব্যবহার জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত শিকড় উত্তোলন পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে, তাই দায়িত্বশীলভাবে শিকড় সংগ্রহ জরুরি।

এইভাবে, গাছের শিকড় খাওয়ার পুষ্টিগুণ, ঔষধি গুণ, এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক প্রভাব মানব জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এখন মূল বিষয়ে আসি যে কোন গাছের শিকড় খেলে মানুষ পাগল হয়ে যায় এবং এমন কোন গাছ রয়েছে যে গাছের শিকর অথবা ফল খেলে মানুষ মারা পর্যন্ত যেতে পারে। চলুন তবে জানা যাক কোন সেই বিষাক্ত গাছ।

কি গাছের শিকড় খেলে মানুষ পাগল হয়ে যায়

বিশ্বের কিছু গাছের শিকড় বিষাক্ত এবং মানুষের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। একটি উদাহরণ হলো:
  • মান্ড্রেক (Mandragora) গাছের শিকড়। Mandragora officinarum হল নাইটশেড পরিবার Solanaceae-এর মান্দ্রাগোরা গোত্রের উদ্ভিদের প্রকারের প্রজাতি । এটি প্রায়শই ম্যান্ড্রাক নামে পরিচিত, যদিও এই নামটি অন্যান্য উদ্ভিদের জন্যও ব্যবহৃত হয়। মান্ড্রেকের শিকড়ে বিভিন্ন অ্যালকালয়েড রয়েছে যা স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে এবং এটি সেবন করলে হ্যালুসিনেশন, বিভ্রান্তি, এবং পাগলামির মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, অতিরিক্ত মান্ড্রেক শিকড় গ্রহণে মারাত্মক বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। 
  • ধূর্তলতা বা ধুতুরা (Datura) নামক গাছের শিকড়ও অত্যন্ত বিষাক্ত। এতে উপস্থিত ট্রোপেন অ্যালকালয়েডগুলি সেবনে তীব্র মানসিক ও শারীরিক বিভ্রান্তি, হ্যালুসিনেশন, এবং পাগলামির লক্ষণ দেখা যায়। 
এই ধরনের গাছের শিকড় সাধারণত ঔষধি বা নেশাজাতীয় প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়, তবে সঠিক মাত্রা এবং বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ছাড়া এগুলি সেবন করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। তাই, এই গাছগুলির শিকড় সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সঠিক জ্ঞান ছাড়া এগুলি সেবন না করাই শ্রেয়।

শিকড়ে উপস্থিত বিষাক্ত পদার্থ

কিছু গাছের শিকড়ে বিষাক্ত পদার্থ থাকে যা শরীরে প্রবেশ করলে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন:

০১. মান্ড্রেক (Mandragora):

  • অ্যাট্রোপিন (Atropine): স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে, বিভ্রান্তি ও হ্যালুসিনেশন ঘটাতে পারে।

  • স্কোপোলামিন (Scopolamine): মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে এবং মানসিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে।


০২. ধূর্তলতা বা ধুতুরা (Datura):

  • হাইয়োসিয়ামিন (Hyoscyamine): স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, হ্যালুসিনেশন এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

  • স্কোপোলামিন (Scopolamine): একই রকম মানসিক প্রভাব ফেলে এবং বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।


০৩. হেমলক (Conium maculatum):

  • কোনাইন (Coniine): স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম ব্যাহত করে এবং শ্বাসরোধ ঘটাতে পারে, যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

০৪. অ্যাকোনাইট (Aconitum):

  • অ্যাকোনাইটিন (Aconitine): হৃদযন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্রের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে, যা হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।

০৫. ক্যাসাভা (Manihot esculenta):

  • লিনামারিন (Linamarin): সঠিকভাবে প্রক্রিয়াকৃত না হলে, এটি সায়ানাইড উৎপন্ন করতে পারে, যা তীব্র বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

এ ধরনের বিষাক্ত পদার্থযুক্ত গাছের শিকড় প্রাচীনকালে কখনো কখনো ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হলেও, এগুলি সঠিক জ্ঞান এবং নির্দেশনা ছাড়া ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।

বিষাক্ত গাছের শিকর নিয়ে ভারতীয় লোককথা

একটা সময়ের কথা, ভারতীয় গ্রামে ছিল এক সুন্দরী মেয়ে নাম তার রূপা। রূপার ছিল দুর্দান্ত সৌন্দর্য এবং তার মায়ের ছিল প্রচুর ঔষধি জ্ঞান। তাদের বাড়ির পেছনে ছিল এক রহস্যময় গাছ, যার শিকড় সম্পর্কে গ্রামে নানা কথা প্রচলিত ছিল। গ্রামের লোকেরা বলতো, ওই গাছের শিকড় বিষাক্ত এবং একবার কেউ সেটি খেলে পাগল হয়ে যায়।

একদিন রূপার মা অসুস্থ হয়ে পড়লেন, এবং তাদের বাড়ির সব ঔষধি শেষ হয়ে গেল। মা বললেন, "রূপা, গাছটির শিকড় নিয়ে এসো। আমি জানি এটা বিষাক্ত, কিন্তু এর মধ্যে আছে এমন একটি উপাদান যা আমার রোগ সারাতে পারে।"

রূপা ভয় পেলেও মায়ের কথা ফেলতে পারল না। সে গাছটির কাছে গেল এবং শিকড় সংগ্রহ করল। মায়ের নির্দেশ অনুসারে শিকড়কে ঠিকমতো প্রক্রিয়াকরণ করে ওষুধ তৈরি করল।

মা সেই ওষুধ সেবন করার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেন। গ্রামের লোকেরা এ ঘটনা শুনে আশ্চর্য হলো। তারা জানতে চাইল, "রূপা, তুমি কিভাবে এ বিষাক্ত শিকড়কে ওষুধে পরিণত করলে?"

রূপা উত্তর দিল, "আমার মা জানতেন যে প্রতিটি বিষাক্ত জিনিসেও কিছু ভালো গুণ থাকে, যদি আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি। এই গাছের শিকড় বিষাক্ত, কিন্তু মা জানতেন কীভাবে এর উপাদানগুলোকে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াকরণ করে ওষুধ তৈরি করতে হয়।"

এই ঘটনার পর থেকে গ্রামের লোকেরা রূপা ও তার মায়ের জ্ঞানকে সম্মান করতে শুরু করল। তারা বুঝল, প্রকৃতির প্রতিটি জিনিসেই কিছু না কিছু গুণ আছে, যদি আমরা সঠিকভাবে তা ব্যবহার করতে পারি।

কীভাবে বিপজ্জনক গাছ শনাক্ত করবেন?

বিপজ্জনক গাছ শনাক্ত করতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। গাছের শিকড়ের রং, গন্ধ এবং আকৃতি দেখে বিপজ্জনক গাছ চেনা যেতে পারে। বিস্তারিতভাবে বললে বলা যায়:
বিপজ্জনক গাছ শনাক্ত করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে যা আপনাকে সতর্ক থাকতে সাহায্য করবে:

০১. চেহারা ও গন্ধ:
  • গাছের পাতা, ফুল, বা ফলের অস্বাভাবিক চেহারা বা তীব্র গন্ধ থাকলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।
  • উদাহরণস্বরূপ, হেমলক গাছের পাতা গাজরের পাতার মতো দেখতে এবং তীব্র গন্ধযুক্ত।

০২. দাগ বা চিহ্ন:

  • গাছের গায়ে লাল, হলুদ বা সাদা দাগ বা চিহ্ন থাকলে তা বিষাক্ত হতে পারে।
  • যেমন, অ্যাকোনাইট গাছের শিকড়ে ও গাছে সাদা বা হলুদ দাগ থাকে।

০৩. প্রাকৃতিক সতর্কবার্তা:

  • কিছু গাছের চারপাশে অন্যান্য উদ্ভিদ কম থাকে কারণ সেগুলি বিষাক্ত উপাদান নিঃসরণ করে।
  • মান্ড্রেক বা ধূর্তলতা গাছের চারপাশে প্রায়শই এমন চিহ্ন দেখা যায়।

০৪. প্রাণীদের আচরণ:

  • যদি দেখেন যে প্রাণীরা নির্দিষ্ট গাছ এড়িয়ে চলে বা তার আশেপাশে আসে না, তবে গাছটি বিষাক্ত হতে পারে।
  • প্রাণীরা সাধারণত বিষাক্ত গাছ চেনে এবং এড়িয়ে চলে।

০৫. স্থানীয় জ্ঞান:

  • স্থানীয় লোকদের মধ্যে থাকা লোককথা বা জ্ঞানও বিপজ্জনক গাছ শনাক্ত করতে সহায়ক হতে পারে।
  • যেমন, ভারতীয় গ্রামে ধূর্তলতা গাছ বিষাক্ত বলে পরিচিত।

০৬. বৈজ্ঞানিক বই ও নির্দেশিকা:

  • গাছ ও উদ্ভিদের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের লেখা বই এবং নির্দেশিকা পড়ে আপনি বিষাক্ত গাছ সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।
  • উদাহরণস্বরূপ, হেমলক, অ্যাকোনাইট, এবং ধূর্তলতা বিষাক্ত গাছ হিসেবে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।

বিপজ্জনক গাছ শনাক্ত করতে এই দিকগুলো মনে রেখে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আপনি নিজেকে এবং অন্যদের নিরাপদ রাখতে পারেন।

বিষাক্ত গাছ নিয়ে সচেতনতা প্রচারণা

বিপজ্জনক গাছ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। স্কুল, কলেজ এবং স্থানীয় কমিউনিটিতে এই বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া উচিত।

বিষাক্ত গাছ নিয়ে চিকিৎসা এবং প্রতিকার

বিপজ্জনক শিকড় খাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিপজ্জনক শিকড় খাওয়ার পর হাসপাতালের চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। সেখানে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করার ব্যবস্থা করা হয়।

বিপজ্জনক শিকড় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং সচেতন থাকুন। গাছের শিকড় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন।

গাছের শিকড় খেলে মানুষ পাগল হয়ে যাওয়া একটি প্রচলিত বিশ্বাস। তবে বিজ্ঞান বলছে, কিছু শিকড় সত্যিই বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সঠিক জ্ঞান এবং সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা আশা করছি আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেয়েছেন এবং কি গাছের শিকড় খেলে মানুষ পাগল হয়ে যায় | কোন গাছের শিকড় খেলে মানুষ পাগল হয়ে যায় সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url