সুখে থাকার উপায় এবং টাকা ছাড়া মানুষ কিভাবে সুখী হয়?
জীবনে সুখী থাকার উপায় কয়টি ও কী কী:-
১. ধার্মিক ও মেধাবী হওয়া: মানুষের মধ্যে বিশেষ ধরণের আনন্দ এনে দেয় ধর্ম বা মেধাবী চিন্তা। এটা কার্যকর হতে পারে সুখী জীবনের প্রতি।
২. সৎ ও নিষ্ঠাবান থাকা: নিজের ওপর ও অন্যকে সম্মান দেওয়া, নিষ্ঠার সাথে জীবন যাপন করা সুখী জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
৩. স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা: নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাবার ও প্রাণায়াম সুস্থ থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪. সামাজিক সংযোগ: পরিবার, বন্ধু, সাথীদের সঙ্গে সময় কাটানো সুখী জীবনের অন্যতম বিশেষ দিক।
৫. শিখতে এবং উন্নতি করতে অব্যাহত থাকা: নতুন কিছু শিখা, নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা জীবনকে উন্নত করে সুখী করে।
৬. আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রম: নিজের সাথে বিশ্বাস রাখা এবং পরিশ্রম করা জীবনে সফলতা এনে দেয় এবং সুখী হতে সাহায্য করে।
৭. ক্ষমতা ও গৌরব: নিজের সীমা বুঝে নিজেকে একটা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখা, অন্যদের সাথে সম্মান ও সহানুভূতি দেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সুখী থাকার জন্য এই ধারণাগুলি মানুষের জীবনে একটি উত্তম দিক প্রদর্শন করতে পারে। তবে, প্রতিটি ব্যক্তি এই উপায়গুলির মধ্যে সেই টি প্রযোজ্য মনে করতে পারে যা তার জীবনের সঙ্গে সাথে যাচ্ছে।
চলুন জেনে নেই জীবনে সুখি হবার কিছু সহজ উপায়-
- সবসময় হাসিমুখে থাকার চেষ্টা করুন।
- নির্জন কোন স্থানে একাকী অন্তত ১০ মিনিট সময় কাটান ও নিজেকে নিয়ে ভাবুন৷
- ঘুম থেকে উঠেই প্রকৃতির নির্মল পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।
- সারাদিনের যে-সকল কাজগুলো করলে সেগুলোতে কি-কি ভুল করেছেন সেগুলো নোট করে পরবর্তীতে সঠিকভাবে করার চেষ্টা করুন।
- নির্ভরযোগ্য প্রাকৃতিক উপাদানে ঘরে তৈরি খাবার খাওয়া এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- প্রতিদিন অন্তত তিনজনের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করুন।
- গাল-মন্দ কথা, অতীতের স্মৃতি, বাজে চিন্তা করে আপনার মূল্যবান সময় এবং বিনা কারণে শক্তি অপচয় করবেন না। ভাল কাজে সময় ও শক্তি ব্যয় করুন।
- জীবন সবসময় সমান যায় না, তবুও ভাল কিছুর অপেক্ষা করতে শিখুন।
- অন্যকে ঘৃণা করে সময় নষ্ট করার জন্য জীবন খুব ছোট, সকলকে ক্ষমা করে দিন সব কিছুর জন্য।
- কঠিন করে কোন বিষয় ভাববেন না। সকল বিষয়ের সহজ সমাধান চিন্তা করুন।
- অন্যের জীবনের সাথে নিজের জীবন তুলনা করবেন না।
- গরীবকে সাহায্য করুন। দাতা হোন, গ্রহীতা নয়।
- অন্য লোক আপনাকে কি ভাবছে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই বরং আপনি আপনাকে নিয়ে কি ভাবছেন সেটা মূল্যায়ন করুন ও সঠিক কাজটি করুন।
- কষ্ট পুষে রাখবেন না। কারণ সময়ের স্রোতে সব কষ্ট ভেসে যায়। তাই কষ্টের ব্যাপারে খোলামেলা আলাপ করুন ও ঘনিষ্ঠদের সাথে শেয়ার করুন।
- প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে আপনার জীবনের জন্য বাবা-মাকে মনে মনে ধন্যবাদ দিন।
- মনে রাখুন জীবনের কোন ভুলের জন্য আপনি ক্ষমা পেয়েছেন। সে-সব ভুল আর যেন না হয় তার জন্য সতর্ক থাকুন।
- সবসময় ন্যয়ের পক্ষে কথা বলুন।
- পরিশেষে বলি আপনি যে অবস্থানে থাকুন না কেন, ভালো হোক বা খারাপ সর্বাস্থায় মহান আল্লাহ্ তা’য়ালা শুকরিয়া আদায় করুন।