দাঁত পরিষ্কারে নিমের মেসওয়াক এখনো গ্রাম-গঞ্জে জনপ্রিয়। নিমে থাকে প্রাকৃতিক
অ্যান্টিসেপটিক। এটি উচ্চ মানের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ যা নানা
ধরণের সংক্রমন প্রতিরোধ করে।
মাঝ বয়ঃসিদের চুল রুক্ষ হয়ে উঠে যাওয়া একটা স্বাভাবিক প্রবণতা। বর্তমানে
অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও নানা ধরনের কেমিকেল ব্যবহারের কারণে অল্প বয়ঃসিদেরও এ
সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, ত্বক ও চুলের যে কোন সমস্যার জন্য নিম হতে
পারে উৎকৃষ্ঠ সমাধান।
নিম গাছ ও নিম পাতার কয়েকটি উপকারি গুণ ও ব্যবহার সমূহ
নিমের গাছ ও নিম পাতা যেহেতু আমাদের অনেক উপকারে আসে এবং এটি আমাদের
দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়জড়িত সেহেতু আমরা এই গাছ ও পাতা সম্পর্কে আরও
বিস্তারিত কিছু জেনে আসি। যদিও বা নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা তবুও আমাদের জেনে
রাখা ভালো যা আমাদের ভবিষ্যতে অনেক কাজে আসবে।
০১। খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে
সাহায্য করে। চর্মরোগের চিকিৎসার জন্যেও এটি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। এমনকি
নিম গাছের পাতা কুষ্ঠরোগ, ত্বকের আলসার, চোখের নানাবিধ ব্যাধি, পেট ব্যথা,
ডায়াবেটিস, হৃৎপিণ্ড ও ধমনীর নানা রোগ, জ্বর, মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং যকৃতের
রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। নিম গাছের পাতার বিশেষত্ব হলো এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল
বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। এই পাতায় রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল
বৈশিষ্ট্য যা একে আরো শক্তিশালী করে তোলে। নিমপাতায় রয়েছে রোগ প্রতিরোধকারী
ক্ষমতা, যার ফলে নানারকম রোগের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গবেষণায়
লক্ষ্য করা গেছে, নিম পাতার নির্যাসে এস মিটানস, ই ফ্যাকালিস এবং এস অরিয়াসের
মতো উপাদানগুলি রয়েছে, যা কোন ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অনেকেই এমন আছেন যাঁরা অত্যধিক রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের জন্য একটি
প্রয়োজনীয় উপাদান হল নিমপাতা। এর নির্যাস শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে
সহায়তা করে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত
নিমপাতা খেলে রক্ত চলাচলের পথ প্রশস্ত হয় এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা
নিয়ন্ত্রিত হয়। দৈনিক খালি পেটে এক কাপ জলে মধু মিশিয়ে এবং নিমপাতার রস মিশিয়ে
খাওয়া গেলে এটি শরীরের রক্ত চলাচলকে ত্বরান্বিত করতে পারে। এছাড়া দৈনিক
নিমপাতা গ্রহণ করতে পারলে এটি শরীরে হরমোনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। শুধুমাত্র
তাই নয়, নিমের মধ্যে হজমে সহায়ককারি কিছু উপাদান রয়েছে যা বদহজমের সমস্যাকে
কমাতে এবং খাদ্য হজমে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে নিমপাতার রস ব্যবহার করা যেতে
পারে। মূলত হজমজনিত অসুস্থতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো নিম।
কারণটি হলো নিমপাতায় উপস্থিত ইনফ্লেমেটরি উপাদানগুলি গ্যাস্ট্রিকের এবং হজম
সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে থাকে। এছাড়াও রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাস করতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে নিমপাতা। যাঁরা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন
তাঁদের ক্ষেত্রে রোজ যদি নিমপাতার রস কিংবা জলে ফুটিয়ে নিমপাতার জল গ্রহণ করা
সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে কোলেস্টেরল মাত্রা শরীরে কমতে লক্ষ্য করা যায়।
উল্লেখ্য যে প্রতিদিন এক টেবিল চামচ নিমপাতার রস সকালে খালি পেটে তিন মাস সেবন
করলে ডায়াবেটিস ভালো হয়। এছাড়াও এটি খেলে ৩০-৭০% ইনসুলিন নেয়ার প্রবণতা কমে
যায়। অপরদিকে ২৫-৩০ ফোঁটা নিমপাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে সকাল বেলা খালি
পেটে খেলে জন্ডিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তাহলে দেখতেই পেলেন নিমপাতার রসের গুণাবলী এবং নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা
ও অপকারিতা কতো। তবে এটি নিয়মিত গ্রহণ করার পরিকল্পনা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী করা উচিত। আরেকটি ব্যাপার হলো কোনোকিছুরই অতিরিক্ত সেবন
স্বাস্থ্যকর নয়। ফলে সবদিক বিবেচনা করে এগোনোই শ্রেয়।
০২। নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়
নিমপাতার ক্লিনজার-
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় নিমপাতা ত্বকের অনেকগুলো সমস্যা দূর করে।
ব্রণ, ব্ল্যাকহেডসের মতো ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এটি বেশ কার্যকরী।
সেইসঙ্গে পরিষ্কার করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল। লোমকূপে লুকিয়ে থাকা ময়লা পরিষ্কার
করতেও সাহায্য করে এই উপকারী পাতা। নিম পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল,
অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান থাকায় এটি ত্বকের ইনফেকশন সারাতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর জন্য কয়েকটি নিম পাতা নরম হওয়া পর্যন্ত সেদ্ধ
করতে হবে।
০৩। ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
(ক) কয়েকটি নিমের পাতা, অল্প হলুদের গুঁড়ো এবং ঠাণ্ডাতরল দুধ দিয়ে পেস্ট তৈরি
করে ত্বকে লাগিয়ে মাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। নিম
ও হলুদ ত্বকের সংক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এ ছাড়া তৈলাক্ততা এবং ব্রণের
প্রকোপ কমায়।
(খ) ত্বকের সিবাকাস গ্ল্যান্ডের অতিরিক্ত এবং ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ব্রণের
সৃষ্টি হয়। নিম পাতা এগুলো সারিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিম
পাতা সেদ্ধ করে সে পানিতে একটি তুলার বল ডুবিয়ে পুরো মুখটা মুছে ফেলুন। আপনি
মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব কমাতে চাইলে শশা-নিমের ফেসপ্যাক কিংবা নিম-টক দইয়ের
প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
০৪। চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার
নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এ চুলকানি কমে। নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা
হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। চুল:
উজ্জ্বল, সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিমপাতার ব্যবহার বেশ কার্যকর। চুলের
খুশকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে
ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণের
কারনে এটি স্কাল্পের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। এছাড়া এটি চুল বড়
করতে এবং খুশকি দূর করতেও ভূমিকা রাখে। মাথার তালুতে নিম তেল ম্যাসাজ করুন। এতে
করে আপনার চুলের গোড়া শক্ত হবে। খুশকি দূরীকরণে, নিম পাতা গুঁড়োর সঙ্গে পানি
মিশিয়ে মাথার তালুতে লাগান। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
০৫। চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার
ত্বকের জন্য: নিমের তেল শুষ্ক ত্বকের থেকে পরিত্রাণ পেতে অত্যন্ত সাহায্য করে
এবং ত্বকের চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়া, গরম ত্বককে ঠান্ডা হতে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ক্ষেত্রে, নিম তেল সাধারণত সোরিয়াসিস এবং একজিমার চিকিৎসার
জন্য ব্যবহৃত হয়।
০-১০ গ্রাম নিমের ছাল এবং নিমের বীজ নিম পাতার সঙ্গে পিষে ভালো করে পেস্ট তৈরি
করুন। যেখানে ত্বক সংক্রান্ত রোগ বা চুলকানি বা দাদ আছে সেখানে ভালো করে লাগান।
এটি তাত্ক্ষণিক স্বস্তি দেবে। ব্রণের উপরও এই পেস্ট লাগাতে পারেন। দাদ,
চুলকানি ও একজিমা ও ফোড়ার উপর নিম ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
এর জন্য পুরনো নিম গাছের শুকনো ছাল তুলে মিহি গুঁড়ো তৈরি করতে হবে এবং তারপর ৩
গ্রাম পাউডার এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবং তারপর সকালে এর মধ্যে
মধু মিশিয়ে নিতে হবে। এই জল ব্যবহার করলে চর্মরোগে উপশম পাওয়া যায়।
এমনকি একজিমার সমস্যায়ও নিম পাতার রসে ভিজিয়ে ব্যান্ডেজ লাগালে অনেক উপকার
পাওয়া যায়। দাদ এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য, নিমের ১০-১৪ টি পাতা নিন এবং তারপর এটি
একটি পেস্ট তৈরি করতে ভালভাবে পিষে নিন, তারপর এটি ভালভাবে লাগান। ২-৩ বারে
আরাম পাবেন।
০৬। তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
নিমপাতার ক্লিনজারব্রণ, ব্ল্যাকহেডসের মতো ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এটি
বেশ কার্যকরী। সেইসঙ্গে পরিষ্কার করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল। লোমকূপে লুকিয়ে থাকা
ময়লা পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে এই উপকারী পাতা। ক্লিনজার তৈরির জন্য কয়েকটি
নিমপাতা নিন।
কয়েকটি নিমের পাতা, অল্প হলুদের গুঁড়ো এবং ঠাণ্ডাতরল দুধ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে
ত্বকে লাগিয়ে মাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। নিম ও
হলুদ ত্বকের সংক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এ ছাড়া তৈলাক্ততা এবং ব্রণের
প্রকোপ কমায়।
০৭। এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
নিম হল বহু উপকারী বিশিষ্ট একটি ঔষধ। যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট
এলার্জি নিষ্কাশন করতে ব্যবহৃত করা হয়। নিমের কিছু পাতা রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন
এবং পরদিন সকালে সেগুলি বেটে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন এবং চুলকানি হওয়া জায়গায়
তা ব্যবহার করুন।
০৮। চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
বলা হচ্ছে, নিম জলে স্নান করার বহু ধরনের উপকার রয়েছে। গায়ে চুলকানি বা
ব়্যাশের জ্বালা থাকলেও তা থেকে যেমন রেহাই পাওয়া যায়, তেমনই মাথায় খুশকি
থাকলেও তা কেটে যায় এই নিমপাতা ভেজানো জলে। এই নিমজল বানাতে লাগবে, ১ লিটার জলে
৪০ টি নিমপাতা। এরপর তা ফুটিয়ে নিয়ে জল ঠাণ্ডা হতে দিতে হবে।
চুলকানি যখন সহ্যের সীমানা ছাড়িয়ে যায় তখন নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। এছাড়া
মাথার ত্বকের চুলকানির সমস্যায় নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। নারী ও
পুরুষ উভয়ে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।
তাই যাদের ঘামের দুর্গন্ধ বেশি হয় তারা নিমপাতা দিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল
করতে পারেন।
আমরা হয়তো এখন একটি পরিপূর্ণ ধারণা পেয়ে গেছি যে, নিম পাতা খাওয়ার
উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের জন্য কতটুকু রয়েছে এবং এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও
আমাদের দেহের কতটুকু উপকারে আসে।
প্রতিদিন নিম পাতা খেলে কি হয়?
প্রতিদিন নিম পাতা খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং প্রাচীনকাল থেকেই এটি আয়ুর্বেদ
চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিম পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল,
অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ রয়েছে যা শরীরকে বিভিন্ন
সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত নিম পাতা খেলে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং ত্বক
সম্পর্কিত সমস্যাগুলো যেমন ব্রণ, একজিমা এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর হয়। এছাড়া,
নিম পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে, যা লিভার
এবং কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আমরা উপরে আলোচনা করে এসেছি যে, নিম পাতা হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য
দূর করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও নিম পাতা কার্যকরী, কারণ এটি রক্তে শর্করার
মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তবে, নিম পাতা খাওয়ার কিছু সতর্কতা রয়েছে।
অতিরিক্ত নিম পাতা খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে, যেমন গ্যাস বা অম্বল। এছাড়া,
গর্ভবতী নারীদের নিম পাতা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি গর্ভপাতের ঝুঁকি
বাড়াতে পারে। তাছাড়া, যদি কেউ কোনো বিশেষ ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে নিম পাতা
খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সার্বিকভাবে, প্রতিদিন সীমিত
পরিমাণে নিম পাতা খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে সবকিছুর মতো এটাও
নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত।
শেষাংশ
নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং প্রতিদিন নিম পাতা খেলে কি হয়?
সে প্রসঙ্গে আজকের লেখার শেষাংশে বলা যায় যে, নিম পাতা ও নিম পাতার গাছের
উপকারিতা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এটি যেমন আমাদের বিভিন্ন রোগবালাই সারাতে
সহায়তা করে ঠিক তেমনভাবে এটি পরিবেশেরও অনেক উপকারে আসে। তবে আমাদের মাথায়
রাখা দরকার অতিরিক্ত নিম পাতা খেলে পেটের সমস্যা, গ্যাস, কিংবা অম্বলের মতো
সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, গর্ভবতী নারীদের জন্য নিম পাতা
ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই, নিম পাতা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
উচিত এবং সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত। সার্বিকভাবে, নিম পাতা শরীরের জন্য
উপকারী, তবে এটি সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে বিপরীত ফলাফলও হতে পারে।
নিয়মিতভাবে এবং পরিমিত মাত্রায় নিম পাতা খেলে শরীরের সুস্থতা বজায় রাখা
সম্ভব।
আমরা আশা করছি আপনি আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং প্রতিদিন নিম পাতা খেলে কি হয়?
সে সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
আমাদের মূল লক্ষ্য হলো আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্যগুলোকে উপস্থাপন করা এবং পৌঁছে
দেওয়া এবং এতে আপনাদের সহযোগীতা আমরা একান্তভাবে কাম্য করছি। লেখাটি আপনাদের
পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও আরো অন্যান্যদের নিকট শেয়ার করে তাদেরও এই
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জানার সুযোগ করে দিন।
নিম পাতা ও নিম গাছের অনেক উপকার রয়েছে। আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে এটি অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিম পাতা আমাদের অনেক প্রকার কঠিন রোগ সারাতে
সাহায্য করে। তাই বলা যায় নিম পাতা ও নিম পাতার গাছ আমাদের জন্য আল্লাহর
দেওয়া একটি অশেষ বড় নেয়ামত।