থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী কত বছর বাঁচে

প্রিয় পাঠকবৃন্দ! আমরা আজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করব যেটি হলো থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী কত বছর বাঁচে বা থ্যালাসেমিয়া রোগী কতদিন বাঁচে? সাধারণত থ্যালাসেমিয়া শব্দটির শোনা অনেকের কাছে অপরিচিত হতে পারে, কিন্তু এটি একটি জনপ্রিয় রোগের নাম, যা আমাদের সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত রোগ। এটি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। রক্তের ক্যানসারও নয়। চলুন তবে এই রোগটি সম্পর্কে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যাক।
থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী কত বছর বাঁচে

থ্যালাসেমিয়ার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

থ্যালাসেমিয়া একটি উত্তরাধিকারী রোগ যা রক্তে হেমোগ্লোবিন প্রস্তুতির সময়ে দেওয়া হেমোগ্লোবিন শৃঙ্খলার কারণে হতে পারে। এটি বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা এবং জেনেটিক টেস্ট দ্বারা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া রোগীর চিকিৎসায় বৃদ্ধি এবং জীবনের প্রত্যাশা:

থ্যালাসেমিয়া হলো একটি উত্তমিষ্ঠ রক্ত রোগ যা সাধারণত আন্তর্জাতিক স্তরের বেশীরভাগ লোকের মধ্যে দেখা যায়, বিশেষত মধ্য-মধ্যম আফ্রিকান এবং দক্ষিণ এশিয়ায়। এই রোগ একজন ব্যক্তির রক্তের হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের ক্ষমতা প্রভাবিত করে, যা জীবনব্যতীত নিশ্চিত জীবনযাপনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই রোগের সাথে বাঁচা যাওয়ার প্রত্যাশা বেশীরভাগ মামলায় সীমাবদ্ধ, তবে সঠিক পরামর্শ এবং চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে জীবনযাপন করা যেতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া একটি উত্তরাধিকারী রোগ যা রক্তে হেমোগ্লোবিন প্রস্তুতির সময়ে দেওয়া হেমোগ্লোবিন শৃঙ্খলার কারণে হতে পারে। এটি বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা এবং জেনেটিক টেস্ট দ্বারা নিশ্চিত করা যেতে পারে। এই রোগের জন্য সম্পূর্ণ উত্তাম চিকিৎসা এবং যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী কত বছর বাঁচে বা থ্যালাসেমিয়া রোগী কতদিন বাঁচে?

শিশুর বয়স বৃদ্ধির ২ বছরের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হতে শুরু করে যা পরবর্তীতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া তথা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগের নিরূপণ করা হয়। থ্যালাসেমিয়া মেজর বা কুলি অ্যানিমিয়া (Cooley anemia)-তে আক্রান্ত সন্তান বড় হয়ে সাধারণত ৩০ বৎসর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জীবনকালকে প্রভাবিত করার কারণগুলো নিম্নে দেওয়া হলো:

জেনেটিক্স এবং রোগের তীব্রতা:

থ্যালাসেমিয়ার রোগের গভীরতা আত্মবিশ্বাস, আমির হোক, রোগীর আগের নিকটতম সন্তানের মধ্যে হেমোগ্লোবিন জেনেটিক বিশেষজ্ঞতা নির্দিষ্ট করে।


সময়মত চিকিৎসা হস্তক্ষেপ:

সময়ে চিকিৎসা ও নিয়মিত চেকআপ মহত্ত্বপূর্ণ হতে পারে যেন যেন কোনও অক্ষতির পূর্ববর্তী চিকিৎসা সমস্যার সম্মুখীনতা হয়।


রক্ত সঞ্চালন এবং আয়রন চেলেশন থেরাপি:

রক্ত সংগ্রহ এবং আয়রন চেলেশন চিকিৎসা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জীবনযাপনের মান উন্নত করে।


জীবনধারা পছন্দ:

স্বাস্থ্যবিধায়ক নির্দেশিকা অনুসরণ করা, নির্দিষ্ট খাবার পরিমাণ এবং ক্যালরির মাত্রা, যোগাযোগের ক্ষমতা এবং নিয়মিত ব্যায়াম স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

থ্যালাসেমিয়া রোগী কতদিন বাঁচে

থ্যালাসেমিয়ার ধরণ:

থ্যালাসেমিয়া বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যা বিভিন্ন উত্তরদাতা জীবাণুর সংবর্ধনার ফলে ঘটে। সাধারণত উল্লেখযোগ্য ধরণগুলি হলো:

  • থ্যালাসেমিয়া মেজোব্লাস্টিক (বেটা) - মাঝে মাঝে মাত্রা ও শিক্ষার সাথে প্রত্যাশা করা যায়।
  • থ্যালাসেমিয়া মেজোব্লাস্টিক (আলফা) - প্রত্যাশা হলো মাত্রা এবং শিক্ষার সাথে।
  • থ্যালাসেমিয়া ইন্টারমিডিয়েট - মাত্রা মধ্যম বা গুরুতর হতে পারে।
  • থ্যালাসেমিয়া মিনর - মাত্রা কম এবং শিক্ষার সাথে।

চিকিৎসা পদ্ধতি

থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা সাধারণত রক্ত ট্রান্সফিউশন, রক্ত প্রস্তুতি, এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। চিকিৎসা প্রদানের ধরণ আপনার থ্যালাসেমিয়ার ধরণ এবং গভীরতা নির্ভর করে। ডক্টর আপনার সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।

থ্যালাসেমিয়া রোগী প্রতিরোধের উপায়:

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। যদি স্বামী-স্ত্রী দু’জনই থ্যালাসেমিয়া বাহক বা একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক এবং একজন হিমোগ্লোবিন’এর বাহক হয় তবে প্রতি গর্ভাবস্থায়-

  • এ রোগে আক্রান্ত শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা থাকে শতকরা ২৫ ভাগ।
  • বাহক শিশু জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে শতকরা ৫০ ভাগ।
  • আর সুস্থ শিশু জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে শতকরা ২৫ ভাগ।
  • স্বামী-স্ত্রী দু’জনের যেকোনো একজন যদি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকেন, তাহলে নবজাতকের থ্যালাসেমিক হবার কোন সম্ভাবনা থাকে না। তবে নবজাতক থ্যালাসেমিয়ার বাহক হতে পারে যা কোন রোগ নয়।
তাই এ রোগের বাহকদের মধ্যে বিয়ে নিরুৎসাহিত এবং প্রতিহত করার মাধ্যমে সমাজে নতুন থ্যালাসেমিক শিশুর জন্ম হ্রাস করা যায়। সুতরাং, দেরি না করে আজই থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় এর জন্য হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস নামক পরীক্ষাটি করান এবং আপনার শিশুকে এর অভিশাপ থেকে মুক্ত রাখুন।

এছাড়া ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থাৎ যেসব পরিবারে স্বামী ও স্ত্রী দুজনই এ রোগের বাহক অথবা যাদের এক বা একাধিক থ্যালাসেমিক শিশু আছে তারা গর্ভস্থ ভ্রুণ পরীক্ষার মাধ্যমে সম্ভাব্য থ্যালাসেমিক শিশু নির্ণয় এবং তা পরিহার (গর্ভপাত) করতে পারেন। গর্ভাবস্থার ১৬ থেকে ১৮ সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষাটি করালে ভালো হয়।

গর্ভস্থ সন্তানের থ্যালাসেমিয়া জানার জন্য যে পরীক্ষাগুলো করতে হবে:

  • কোরিওনিক ভিলিয়াস স্যাম্পলিং (Chorionic villus sampling)
  • অ্যামনিওসেনটিসিস (Amniocentesis)
  • ফিটাল ব্লাড স্যাম্পলিং (Fetal blood sampling)
  • তাহলে আমাদের অনাগত প্রজন্ম যাতে থ্যালাসেমিয়ার মত একটি ভয়াবহ রোগ নিয়ে না জন্মায়, তার জন্য আমাদের প্রত্যেককে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন)

থ্যালাসেমিয়া কিভাবে আয়ুকে প্রভাবিত করে?
থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আয়ু স্বাভাবিক মানুষের থেকে কম হতে পারে যেহেতু তাদের রক্ত প্রোডাকশন এবং কোনও সময়ের জন্য রক্ত স্তম্ভন করতে হতে পারে।

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস:

থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতিবছর ৮ই মে পালিত হয় বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। বাংলাদেশে এই দিবসটি পালিত হয় উক্ত তারিখে। বিশ্বে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক সংখ্যা প্রায় ২৫০ মিলিয়ন। বিশ্বে প্রতি বছর ১ লাখ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। বাংলাদেশের ১০-১২ ভাগ মানুষ এই রোগের বাহক। অর্থাৎ প্রায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষ তাঁদের অজান্তে এই রোগের বাহক। দেশে কমপক্ষে ৬০-৭০ হাজার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু-কিশোর রয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ৭-১০ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে।

আমরা আশা করছি আমাদের পোস্টটি পড়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেয়েছেন এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী কত বছর বাঁচে, থ্যালাসেমিয়া রোগী কতদিন বাঁচে সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url